ভারতের স্বাধীনতার ক্ষেত্রে আজাদ হিন্দ বাহিনীর ভূমিকা তাৎপর্যপূর্ণ। ১৯৪২ সালে ১ লা সেপ্টেম্বর আজাদ হিন্দ ফৌজ গঠন করেন রাসবিহারী বসু। প্রতিষ্ঠার সময় এই আজাদ হিন্দ বাহিনীর সেনাপতি ছিলেন মোহন সিং। কিছু সময় পরে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু আজাদ হিন্দ বাহিনীর নেতৃত্ব ভার গ্রহণ করেন। সেনা দলকে কয়েকটি ভাগে বিভক্ত করেছিলেন, উল্লেখ্য গান্ধী ব্রিগেড, আজাদ ব্রিগেড ,নেহরু ব্রিগেড, ঝাঁসিরানী ব্রিগেড। আজাদ হিন্দ বাহিনী ১৯৪৩ সালের ২৩ শে অক্টোবর ব্রিটিশ সরকারের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে।১৯ ৪৪ সালের চৌঠা জানুয়ারি রেঙ্গুনি আজাদ হিন্দ ফৌজের প্রথম সামরিক দপ্তর স্থাপন করেন নেতাজি। আজাদ হিন্দ ফৌজের রণধ্বনি ছিল দিল্লি চলো, একটাই লক্ষ্য ছিল দিল্লি দখল করবার পর ভারত থেকে ইংরেজদের কে তাড়িয়ে দেওয়া। ১৯৪৪ সালের ১৮ই মার্চ ভারতের ভূখণ্ডে পদার্পণ করে আজাদ হিন্দ বাহিনী। মণিপুরে প্রবেশ করার পর ভারতের জাতীয় পতাকা উত্তোলন করে তারা, মনিপুরের রাজধানী ইমফল দখলের জন্য ইংরেজদের সাথে যুদ্ধ শুরু করে আজাদ হিন্দ বাহিনী। এরপর দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের প্রেক্ষাপটে আমেরিকা জাপান অভিযানে অগ্রসর হলে, জাপান সেনাবাহিনী স্বদেশ রক্ষা করার জন্য আজাদ হিন্দ বাহিনীর সঙ্গ ত্যাগ করে। এরপর ১৯৪৫ খ্রিস্টাব্দের ১৫ ই আগস্ট জাপান মিত্রশক্তির কাছে আত্মসমর্পণ করে, সেই কারণে আজাদ হিন্দ বাহিনী অস্ত্র ত্যাগ করতে বাধ্য হয়। ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের ইতিহাসে আজাদ হিন্দ বাহিনীর সংগ্রামের গুরুত্ব অপরিসীম। আজাদ হিন্দ বাহিনীর এই সংগ্রাম দেশবাসিকে স্বাধীনতা লাভের জন্য অনুপ্রানিত করেছিল।
Share on Facebook
Follow on Facebook
Add to Google+
Connect on Linked in
Subscribe by Email
Print This Post
