শেখ খলিফা বিন জায়েদ বাংলাদেশ ইসলামিয়া প্রাইভেট স্কুলের শিক্ষার্থীদের স্বাগত জানালো বাসসাম ফ্রাইহা আর্ট ফাউন্ডেশন

সহিত্য ও সংস্কৃতি

বাসসাম ফ্রাইহা আর্ট ফাউন্ডেশন (BFAF), যা সাদিয়াত কালচারাল ডিস্ট্রিক্টে অবস্থিত এবং বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের চিত্রকর্ম ও পেইন্টিং সংগ্রহ প্রদর্শন করে, শেখ খলিফা বিন জায়েদ বাংলাদেশ ইসলামিয়া প্রাইভেট স্কুলের শিক্ষার্থীদের স্বাগত জানিয়েছে।

শিক্ষার্থীদের মধ্যে ২৩ জন শিক্ষার্থী এবং শিক্ষকদের একটি দলকে বৈশ্বিক চিত্রকর্ম সংগ্রহ সম্পর্কে ব্রিফ করা হয় এবং আবুধাবিতে উদীয়মান শিল্প প্রতিভা সমর্থনে ফাউন্ডেশনের প্রচেষ্টা ও অবদানের বিষয়ে অবহিত করা হয়।

এই ভ্রমণে ফাউন্ডেশনের শিল্প গ্যালারির একটি নির্দেশিত ভ্রমণ অন্তর্ভুক্ত ছিল যেখানে বিশিষ্ট শিল্পকর্মগুলি প্রদর্শিত হয়েছিল, সংগ্রহের শিল্প এবং শিল্পকলা ও সাংস্কৃতিক দৃশ্যকে সমৃদ্ধ ও প্রচার করার প্রভাব তুলে ধরা হয়েছিল। এছাড়াও, একটি কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয় যেখানে সমাজে জীবনমান উন্নত করতে সংস্কৃতি ও শিল্পের ভূমিকার উপর আলোকপাত করা হয়েছিল।

BFAF একটি শিল্প যোগাযোগের সেতু হিসেবে কাজ করে যা দর্শকদেরকে ইতিহাস, সংস্কৃতি এবং সৃজনশীলতার মাধ্যমে একটি যাত্রায় নিয়ে যায়, যা স্থপতি রাশা জেবরান দ্বারা ডিজাইন করা একটি ভবনে অবস্থিত শিল্প গ্যালারির মাধ্যমে উপস্থাপিত হয়। BFAF এর প্রতিবেশী সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানগুলি হল লুভর আবুধাবি, মানারাত আল সাদিয়াত, বার্কলি আবুধাবি এবং আসন্ন শেখ জায়েদ ন্যাশনাল মিউজিয়াম ও গুগেনহাইম আবুধাবি।

শিক্ষার্থীদের জন্য এই সফরটি একটি অনন্য অভিজ্ঞতা ছিল, যেখানে তারা বিশ্বমানের শিল্পকর্মগুলি কাছ থেকে দেখতে পেয়েছিল এবং শিল্পের সাথে নিজেদের সম্পর্কিত করতে পেরেছিল। শিল্পের প্রতি তাদের আগ্রহ এবং কৌতূহল উদ্দীপ্ত করার জন্য এটি একটি মূল্যবান সুযোগ ছিল। তারা বিভিন্ন শিল্প মাধ্যম এবং শৈলীর মধ্যে পার্থক্য এবং মিলগুলি বুঝতে শিখেছিল।

এই সফরের সময় শিক্ষার্থীরা কিভাবে একটি শিল্প সংগ্রহ গড়ে তোলা হয় এবং এটি সমাজে কিভাবে প্রভাব ফেলে সে সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পেরেছিল। শিল্প সংগ্রহের বিভিন্ন দিক এবং এর সামাজিক, সাংস্কৃতিক এবং ঐতিহাসিক গুরুত্ব সম্পর্কে তাদের বোঝাপড়া বৃদ্ধি পেয়েছিল।

ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে উল্লেখ করা হয় যে, তারা শিল্প এবং সংস্কৃতির মাধ্যমে বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মধ্যে একটি সংযোগ স্থাপন করতে চায়। তারা বিশ্বাস করে যে, শিল্প মানবতার সাধারণ অভিজ্ঞতাকে তুলে ধরতে এবং মানুষকে একত্রিত করতে পারে। এই লক্ষ্যে, BFAF নিয়মিতভাবে বিভিন্ন কর্মশালা, প্রদর্শনী এবং সাংস্কৃতিক ইভেন্ট আয়োজন করে, যেখানে স্থানীয় এবং আন্তর্জাতিক শিল্পীদের কাজ প্রদর্শিত হয়।

শিক্ষার্থীরা এই সফর শেষে তাদের অভিজ্ঞতা এবং শিক্ষাগুলি তাদের স্কুলে ফিরে শেয়ার করার জন্য উত্সাহিত ছিল। তারা বিশ্বাস করে যে, এই ধরনের ভ্রমণ তাদের শিক্ষার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ এবং এটি তাদের সৃজনশীল চিন্তাভাবনা এবং শিল্পের প্রতি আগ্রহ বাড়াতে সাহায্য করবে।

ফাউন্ডেশনের পরিচালক এক বিবৃতিতে বলেন, “আমরা শিক্ষার্থীদের স্বাগত জানাতে পেরে আনন্দিত। আমাদের লক্ষ্য হলো নতুন প্রজন্মকে শিল্প এবং সংস্কৃতির প্রতি আগ্রহী করা এবং তাদেরকে সৃজনশীল চিন্তাভাবনা এবং সমালোচনামূলক চিন্তাধারার বিকাশে সহায়তা করা। আমরা আশা করি, এই ধরনের অভিজ্ঞতা শিক্ষার্থীদের জীবনে একটি ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে এবং তাদেরকে ভবিষ্যতে সৃজনশীল ক্ষেত্রগুলিতে এগিয়ে যেতে অনুপ্রাণিত করবে।”