উইম্বলডনের আগে কুইন্স ক্লাবে কষ্টার্জিত জয়ে আত্মবিশ্বাসে ভরপুর ড্রেপার

ben-hershey-K9HgyI3qmqA-unsplash (3)

ব্রিটিশ টেনিস তারকা জ্যাক ড্রেপার এক সময় নিজেকে তুলনা করতেন একটি ‘ফেরারি’র সঙ্গে, যার নির্ভরযোগ্যতায় ঘাটতি ছিল। তবে এখন তিনি মনে করছেন, কোর্টের বাইরের কঠোর পরিশ্রমই তাকে গ্র্যান্ড স্ল্যাম টুর্নামেন্টের শারীরিক চাপ সামাল দিতে প্রয়োজনীয় শক্তি জুগিয়েছে।

উইম্বলডনের জন্য প্রস্তুতি নিতে গিয়ে ২৩ বছর বয়সী এই খেলোয়াড় কুইন্স ক্লাব চ্যাম্পিয়নশিপে অসুস্থতা সত্ত্বেও দুর্দান্তভাবে ফিরে এসে অস্ট্রেলিয়ার অ্যালেক্সি পোপিরিনকে ৩-৬, ৬-২, ৭-৬ সেটে পরাজিত করেন। প্রথম সেটে পিছিয়ে পড়লেও ঘুরে দাঁড়িয়ে শেষ পর্যন্ত জয় ছিনিয়ে নেন এবং কোয়ার্টার-ফাইনালে উঠেন, যেখানে তার প্রতিপক্ষ হবেন যুক্তরাষ্ট্রের ব্র্যান্ডন নাকাশিমা।

গত বছর অ্যান্ডি মারের অবসরের পর ড্রেপারই ব্রিটেনের নতুন আশার প্রতীক হিসেবে উঠে এসেছেন। এই বছর তার পারফরম্যান্সও নজরকাড়া—মার্চে তিনি ইন্ডিয়ান ওয়েলস-এ এটির ১০০০ শিরোপা জিতে নিজের ক্যারিয়ারের অন্যতম সেরা সাফল্য অর্জন করেন।

“আমি সব সময় কোর্টের বাইরে কঠোর পরিশ্রম করে এসেছি,” বলেন ড্রেপার, যিনি গত বছর ইউএস ওপেনের সেমি-ফাইনালে উঠেছিলেন।

“এই পরিশ্রমই আমাকে ট্যুরে আরও ধারাবাহিকভাবে খেলার শক্তি দিয়েছে। প্রতি গ্র্যান্ড স্ল্যামে আমি আগের চেয়ে ভালো অনুভব করছি।”

তিনি হাসতে হাসতে বলেন, “আগে মনে হতো আমার ভেতরের শক্তি কম। দেখতে হয়তো ফেরারির মতো লাগত, কিন্তু আসলে যেন টয়োটা—সহজেই ভেঙে পড়তাম।”

“এখন আমি নিজের মধ্যে একটা শক্তি এবং আত্মবিশ্বাস খুঁজে পাচ্ছি। প্রতিটি ম্যাচে সেটা কাজে লাগাতে পারছি।”

ড্রেপারের এই প্রত্যাবর্তন এবং উন্নতির পথ শুধু তার আত্মবিশ্বাস বাড়াচ্ছে না, বরং ব্রিটিশ টেনিসের জন্যও নতুন সম্ভাবনার দ্বার খুলে দিচ্ছে। উইম্বলডনের মতো বড় আসরের আগে এমন একটি জয় নিঃসন্দেহে তাকে আরও আত্মবিশ্বাসী করে তুলবে।