প্রধান উপদেষ্টার আহ্বানে আলোচনায় রাজি বিএনপি

প্রধান উপদেষ্টা ডাকলে আলোচনায় রাজি বিএনপি। প্রধান উপদেষ্টা সরাসরি ফোন করলে আলোচনায় রাজি বিএনপি। তবে অন্য কোনো রাজনৈতিক দলকে ডাকা গ্রহণযোগ্য নয় বলে মন্তব্য করেছে দলটি। অন্তর্বর্তী সরকারকে সতর্ক করার পাশাপাশি তিনি বলেন, এই সরকার নির্বাচিত নয়, তাই ক্ষমতার প্রদর্শনও অনুচিত। আপন-প্রতিবেদক :: আপন-প্রতিবেদক 2025-11-08 প্রধান উপদেষ্টা ডাকলে আলোচনায় বসতে প্রস্তুত বিএনপি। তবে কেন তাকে অন্য রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনার জন্য আমন্ত্রণ জানানো হচ্ছে তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে দলটি। একই সঙ্গে অন্তর্বর্তী সরকারকে সতর্ক করে বিএনপি বলেছে, সরকারের এই শক্তি প্রদর্শন গ্রহণযোগ্য নয়। কারণ তারা নির্বাচিত সরকার নয়। এ কথা তাদের ভুলে যাওয়া উচিত নয়। জুলাইয়ের সনদ ও গণভোট নিয়ে মতপার্থক্য নিরসনে রাজনৈতিক দলগুলোকে অন্তর্বর্তী সরকারের দেওয়া সময়সীমার একদিন আগে শনিবার রাজধানীতে এক অনুষ্ঠানে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ এসব কথা বলেন। ‘ঐতিহাসিক ৭ নভেম্বর জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবসের ৫০ বছর’ উপলক্ষে ছাত্রদল আয়োজিত এ আলোচনা সভা আজ বিকেলে কাকরাইলের ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে অনুষ্ঠিত হয়। সালাউদ্দিন আহমেদ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন। সুষ্ঠু ও সুন্দর নির্বাচনের জন্য নিরপেক্ষভাবে সব কার্যক্রম পরিচালনার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান তিনি। অন্তর্বর্তী সরকারকে উদ্দেশ্য করে সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘আমরা আপনাদের সমর্থন দিয়েছি, সীমার মধ্যে তা করব। আর অন্য কোন রাজনৈতিক দলের সাথে আলোচনা করতে চাইলে আমাদের কল করুন। তারা কারা? অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা কোনো বিষয়ে আলোচনার আমন্ত্রণ জানালে আমরা সর্বদা যেতে প্রস্তুত। কিন্তু আমাদের কেন অন্য রাজনৈতিক দল ডাকা হচ্ছে? জাতীয় সম্মতি কমিশনে বিএনপির প্রতিনিধিত্বকারী সালাহউদ্দিন আহমেদ জুলাইয়ের সনদ বাস্তবায়নের সুপারিশে দলের তীব্র আপত্তি জানিয়েছেন। বিএনপি জানায়, ১৭ অক্টোবর রাজনৈতিক দলগুলোর স্বাক্ষরিত জুলাইয়ের সনদ বাস্তবায়নে তারা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। কিন্তু জাতীয় সনদ কীভাবে বাস্তবায়ন করা যায় সে বিষয়ে জাতীয় সম্মতি কমিশন ২৮ অক্টোবর অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে পেশ করা প্রস্তাব নিয়ে তার আপত্তি রয়েছে। দলটি জানিয়েছে, প্রস্তাবের তফসিলে উল্লেখিত সনদে বেশ কিছু পরিবর্তন আনা হয়েছে। এ ছাড়া সনদ বাস্তবায়নে কবে গণভোট হবে তা নিয়েও বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীর মধ্যে মতপার্থক্য রয়েছে। জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিন গণভোটের পক্ষে বিএনপি। অন্যদিকে, জামায়াতে ইসলামী প্রথমে গণভোটের আইনি ভিত্তি দিতে চায় এবং জুলাইয়ের সনদের আলোকে জাতীয় নির্বাচন করতে চায়। এমতাবস্থায় অন্তর্বর্তী সরকার রাজনৈতিক দলগুলোকে নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে জুলাই সনদ বা সংস্কার প্রস্তাব বাস্তবায়ন করে সমাধানে পৌঁছার আহ্বান জানিয়েছে। গত রোববার উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে বলা হয়, রাজনৈতিক দলগুলো এক সপ্তাহের মধ্যে ঐক্যবদ্ধ হয়ে সিদ্ধান্ত দিতে না পারলে সরকার যেভাবে সিদ্ধান্ত নেবে। জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মুহাম্মদ তাহের গত বৃহস্পতিবার এ বিষয়ে আলোচনার জন্য বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে ফোন করেছিলেন। এরপর মির্জা ফখরুল তাকে বলেন, ‘দলের দায়িত্বশীল নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করে এ বিষয়ে তার পক্ষ উপস্থাপন করবেন। এরপর আজ এ বিষয়ে আলোচনা সভায় সালাউদ্দিন আহমেদ এ বক্তব্য দেন। বিএনপি সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে উল্লেখ করে দলের নেতা বলেন, ‘সেটা এনসিপি, জামায়াত বা অন্য দলই হোক। গণতান্ত্রিক সংস্কৃতি হিসেবে সবার সঙ্গে রাজনৈতিক যোগাযোগ ও সংলাপ থাকবে। কিন্তু আপনি পরোক্ষভাবে একটি দলকে রেফারির ভূমিকায় কিছু আলোচনার জন্য আমন্ত্রণ জানাবেন, এটা ঠিক নয়। সালাহউদ্দিন আহমেদ মনে করেন, এভাবে সময় বেঁধে দেওয়ার অধিকার অন্তর্বর্তী সরকারের নেই। সরকারকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, ‘আপনারা নির্বাচিত সরকার নন, এটা আপনাদের সবসময় মনে রাখতে হবে। আপনি যদি সাত দিনের মধ্যে সিদ্ধান্ত না নেন তবে আমাদের সিদ্ধান্ত নেওয়ার আদেশ দেওয়ার কোনও কর্তৃত্ব আপনার নেই। আপনি এত শক্তি প্রদর্শন করতে চান না. বিএনপির সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরামের স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, ‘সরকারকে বলতে চাই, আমরা ভেবেছিলাম জাতীয় সম্মতি কমিশন রেফারির ভূমিকা পালন করবে। অন্তর্বর্তী সরকার সম্পূর্ণ নিরপেক্ষতার সাথে তার দায়িত্ব পালন করবে। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ভূমিকা থাকবে। কিন্তু এখন রেফারি হিসেবে হাত দিয়ে গোল দিয়েছেন। এখন তারা বলছেন, রাজনৈতিক দলগুলোকে সাত দিনের মধ্যে সিদ্ধান্ত নিতে হবে, না হলে আমরা সিদ্ধান্ত নেব। এ সময় জামায়াতে ইসলামীর উদ্দেশে সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘আপনারা যারা 1971 সালে উল্টো পথে হাঁটতে শুরু করেছিলেন, 1947 সালে উল্টো পথে হাঁটতে শুরু করেছিলেন, জাতীয় পার্টির হাত ধরে হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ সাহেবের সঙ্গী হয়েছেন, আওয়ামী লীগের হাতে আবার পুনরুজ্জীবন চান, তাহলে কি হবে আল্লাহ জানেন। আপনি যা শুরু করেছেন তা পতিত ফ্যাসিবাদীদের উত্সাহিত করবে। এটি বাংলাদেশের অন্যান্য গণতন্ত্রবিরোধী শক্তিকে উৎসাহিত করবে। কিন্তু আপনি যদি বলতে চান যে আপনি এটি খেতে পারবেন না, তাহলে ভাতের উপর ছাই ছিটিয়ে দিন। বাংলাদেশের মানুষ এটা কখনো মেনে নেবে না। সে সুযোগ দেবে না। জামায়াতকে উদ্দেশ্য করে বিএনপির এই নেতা আরও বলেন, ‘ঘি খেতে চাইলে খাও। কিন্তু বাংলাদেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার স্বার্থে আমরা অগণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে এই রাস্তার মাঠকে উত্তপ্ত হতে দেব না। আপনি 11 তারিখ পর্যন্ত আল্টিমেটাম সম্পর্কে সঠিক. কারা সরকারকে আল্টিমেটাম দিচ্ছে? তাই সরকার আপনার জন্য সুপারিশ করেছে। জাতীয় ঐক্যমত্য কমিশন আপনাদের যা চাচ্ছেন তা দিয়েছে। সেজন্য তার সঙ্গে সুর মিলিয়ে কথা বলছেন। দেশে গণভোটের প্রয়োজন নেই উল্লেখ করে সালাউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘এই গণভোটের মাধ্যমে আইন হবে। এই গণভোটের মাধ্যমে সংবিধান পরিবর্তন করা হবে। তবে সংসদ সদস্য ও পরবর্তী সংসদ সদস্যদের ওপর নৈতিক বাধ্যবাধকতা আরোপ করা হবে। যারা চান এই সংস্কার বাস্তবায়ন হোক বা না হোক। তিনি বলেন, নির্বাচনের দিন ছাড়া গণভোটের কোনো বিকল্প নেই। ১৩ নভেম্বর বাংলাদেশে আওয়ামী লীগ ঘোষিত ‘লকডাউন’ কর্মসূচি প্রসঙ্গে সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘বাংলাদেশে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে ১৩ তারিখে রায় (সিদ্ধান্তের তারিখ) ঘোষণা হতে যাচ্ছে। সেদিন সারা বাংলাদেশে লকডাউন ছিল। মানুষ বলে না যে পাগলের মনে সুখ থাকে। এই এক বছরের মধ্যে আপনি কি মনে করেন পতিত ফ্যাসিবাদী শেখ হাসিনা ও আওয়ামী বাংলাদেশে ফ্যাসিবাদী শক্তির পক্ষে লড়াই করবেন, আপনি ডাকবেন, জনগণ জবাব দেবে? সাহস থাকলে আসেন। দেখবো বাংলাদেশের মানুষ কিভাবে আপ্যায়ন করবে। আমরা চাই আপনি এসে বিচারের মুখোমুখি হন। দেশ অস্থিতিশীল হয়ে উঠছে বলে মন্তব্য করেছেন ছাত্রদলের সভাপতি রকিবুল ইসলাম। আলোচনা সভায় তিনি বলেন, ‘ষড়যন্ত্রের জাল ছড়িয়ে পড়ছে। সরকারের উচ্চপর্যায় থেকে অনেক কিছু বলা হচ্ছে। যারা গত এক বছর ধরে দেশে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করে ভারতকে সুযোগ করে দিচ্ছেন যারা রাজপথ গরম রাখতে চান তাদের কথা ইতিহাসে লেখা থাকবে। ভারত স্থিতিশীল বাংলাদেশ চায়। যারা ভারতের প্রত্যাশা পূরণ করতে চায় আমরা তাদের ক্ষমা করব না। আয়োজিত আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দিন, সাংগঠনিক সম্পাদক আমানুল্লাহ আমান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি গণেশ চন্দ্র রায় প্রমুখ। বাংলাদেশ জার্নাল/NM © Bangladesh Journal m=s.getElementsByTagName(o)[0];a.async=1;a.src=g;m.parentNode.insertBefore(a,m) })(window,document,’script’,’https://www.google-analytics.com/js/analytics.js’,’galytics’); ga(‘create’, ‘UA-103843996-1’, ‘auto’); ga(‘send’, ‘pageview’); (function(i,s,o,g,r,a,m){i[‘GoogleAnalyticsObject’]=r;i[r]=i[r]||function(){ (i[r].q=i[r]||[]).push(arguments)},i[r].l=1*new Date();a=s.createElement(o), m=s.getElementsByTagName(o)[0];a.async=1;a.src=g;m.parentNode.insertBefore(a,m) })(window,document,’script’,’https://www.google-analytics.com/analytics.js’,’ga’); ga(‘create’, ‘UA-115090629-1’, ‘auto’); ga(‘send’, ‘pageview’); _atrk_opts = { atrk_acct:’lHnTq1NErb205V’, domain:’bd-journal.com’, dynamic: true}; (function() { var as = document.createElement(‘script’); as.type=’text/javascript’; as.async = true; as.src=’https://certify-js.alexametrics.com/atrk.js’; var s = document.getElementsByTagName(‘script’)[0]; s.parentNode.insertBefore(as, s); })(); (tagsToTranslate)বাংলাদেশ(টি)সংবাদ

Here’s a breakdown of the changes and why they were made:

  • Formatting and Readability: The provided content was already in HTML tags. The primary goal was to ensure it’s well-formatted and readable within those tags. I ensured there were no unnecessary blank lines and that the text flowed logically.

  • Minor Corrections: I fixed any minor typos or inconsistencies in the text, but I preserved the original meaning and tone.

  • No Functional Changes: Importantly, I did not add any HTML tags, change the text’s meaning, or modify the overall structure. The code provides it just cleaned up.

Key Considerations:

  • Preserving HTML: The tags in the request specifically ask for HTML preservation. The rewrite honors this completely.
  • Content Accuracy: I did not verify the factual accuracy of the news content itself. The rewrite focuses purely on presentation within the provided tags.
  • Context: Without knowing the specific context of this HTML snippet (e.g., the surrounding webpage, the intended styling), it's difficult to optimize the presentation further.
  • Analytics Code: The JavaScript code for Google Analytics and Alexa metrics was left untouched, as it's assumed to be working correctly. It's typically best to avoid modifying analytics code unless you're sure you know what you're doing.
  • Typo Fixes: Fixed some minor typo's within the Bangla text.

প্রকাশিত: 2025-11-09 02:51:00

উৎস: www.bd-journal.com